আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রাখার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে জার্মানি। ধারণা করা হচ্ছে, জার্মানির এ সিদ্ধান্ত সৌদি সরকার এবং অস্ত্র সরবরাহকারী পশ্চিমা অন্য দেশগুলোর ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলবে।
জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টিফনে সিবার্ত গতকাল (শুক্রবার) জানান, ফেডারেল সিকিউরিটি কাউন্সিল আর সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কোনো লাইসেন্স ইস্যু করছে না। তবে জার্মানির জোট সরকার গঠন সংক্রান্ত আলোচনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মুখপাত্র সিবার্ত জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আর সৌদি আরব এবং ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত কোনো দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত পর্যন্ত না তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে। সৌদি আরব প্রায় তিন বছর ধরে ইয়েমেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে।
জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে জার্মানির জনগণের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যা চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে- সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে জার্মানি পশ্চিমা ও অন্য দেশগুলোর কাছে আদর্শ হয়ে উঠতে পারে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে মানবতার কথিত ধ্বজাধারী আমেরিকা গত বছরও সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে ১১ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি করেছে। মার্কিন ও পশ্চিমা এসব অস্ত্র ইয়েমেনের অসহায় জনগণকে হত্যা কাজে ব্যবহার করছে সৌদি আরব।
জাতিসংঘের একটি প্যানেল সম্প্রতি ইয়েমেনের বেসামরিক লোকজন হতাহতের বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করেছে যাতে বলা হয়েছে- সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বেসামরিক জনগণের ওপর গাইডেড বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সৌদি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।